মূল তথ্য
জীবদ্দশায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৮৯৮ ও ১৯২৬ সালে ঢাকায় আসেন। প্রথমবার তিনি এসেছিলেন বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনের দশম অধিবেশনে যোগদান করতে। এই সফরকালে ঢাকা ক্রাউন থিয়েটার হলে ৩০ মে থেকে ১ জুন পর্যন্ত মোট তিন দিন অসুস্থ শরীর নিয়ে তিনি অংশ নেন সম্মেলনে। বিশ্বকবির এই আগমন নিয়ে খুব একটা মাতামাতির খবর জানা যায় না। তবে তাঁর দ্বিতীয়বারের ঢাকা আগমন নিয়ে শুধু যে মাতামাতিই হয়েছে তা-ই নয়, ঢাকাবাসীর মধ্যে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়। তিনি কোথায় থাকবেন, কী খাবেন-এসব বিষয় নিয়ে শুরু হয়ে যায় দলাদলি। ঢাকার বিশিষ্ট নাগরিকরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
কা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঢাকায় আসার পর কারো বাসায় না উঠে বুড়িগঙ্গা নদীতে রাখা নৌযানে অবস্থান নেন। রমনা সবুজ চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু বাংলো থাকার পরও কবিগুরু কেন নদীর মধ্যে নির্জন পরিবেশকে বেছে নিয়েছিলেন এমন প্রশ্ন আজকাল অনেকেই করে থাকেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন গবেষক নানা মত দিয়েছেন। তবে অধিকাংশের মতে, মূলত ঢাকাবাসীর দলাদলির হাত থেকে রক্ষা পেতে রবীন্দ্রনাথ নিজে থেকেই বুড়িগঙ্গার নৌযান বেছে নেন।
ডিপার্চার | ঢাকা এয়ারপোর্ট |
ডিপার্চার টাইম | Please arrive by 10:20 AM for a prompt departure at 10:50 AM |
ফেরত যাওয়ার সময় | Approximately 8:30 PM |
যা যা অন্তর্ভূক্ত থাকবে |
|
যা যা অন্তর্ভূক্ত থাকবে না |
|
ভ্রমণবৃত্তান্ত
ব্রোশিওর ডাউনলোড
গোপালচন্দ্র রায়ের ‘ঢাকায় রবীন্দ্রনাথ’ গ্রন্থসূত্রে জানা যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯২৬ সালের ৭ জানুয়ারি কলকাতা থেকে ট্রেনে গোয়ালন্দ, সেখান থেকে স্টিমারযোগে নারায়ণগঞ্জ এবং মোটর শোভাযাত্রা করে ঢাকায় আসেন। ঢাকায় তাঁর সফরসূচি ছিল ৯ দিনের। রবীন্দ্রনাথকে ঢাকায় আনার ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক (পরে উপাচার্য হন) ড. রমেশচন্দ্র মজুমদারের বিশেষ অবদান ছিল। তাই তিনি চেয়েছিলেন, কবিগুরু তাঁর বাসায়ই অবস্থান করবেন। কিন্তু ঢাকার বিশিষ্ট নাগরিকরা তা মেনে নিতে চাননি। তাঁদের মতে, রবীন্দ্রনাথ শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেহমান নন, সারা ঢাকাবাসীর মেহমান। রবীন্দ্রনাথ শেষ পর্যন্ত বুড়িগঙ্গা নদীর ওয়াইজ ঘাটে বাঁধা ঢাকার নবাবদের রাজকীয় জলযান তুরাগ হাউস বোটে গিয়ে ওঠেন।

বিশিষ্ট সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসু তাঁর ‘আমার ছেলেবেলা’ গ্রন্থে স্মৃতিচারণায় বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথকে আমি প্রথম দেখেছিলাম বুড়িগঙ্গার ওপর নোঙর ফেলা একটি স্টিমলঞ্চে। সেখানে নিমন্ত্রণকর্তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে রেষারেষি করে ঢাকার বিশিষ্ট নাগরিকেরা তাঁর বসবাসের ব্যবস্থা করেছিলেন। উপরের ডেকে ইজি চেয়ারে বসে আছেন তিনি। ঠিক তাঁর ফটোগ্রাফগুলোর মতোই জোব্বা-পাজামা পরনে। আর কেউ কেউ উপস্থিত। রেলিং-এ হেলান দিয়ে আমি দূরে দাঁড়িয়ে আছি।’